রোববার (০৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
এপ্রিল মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত এ অবস্থা বিদ্যমান থাকবে।
ইতালিতে এখন পর্যন্ত ২৩০ জনেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন অর্ধ শতাধিক মানুষ। শনিবার (০৭ মার্চ) আক্রান্তের সংখ্যা ১২শ’ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৮৩ জনে।
উত্তর ইতালির লম্বার্দি অঞ্চল, যেখানে এক কোটি মানুষের বাস, দেশটির অর্থনৈতিক কেন্দ্র মিলান এবং ভেনিস, পার্মা ও মদেনাসহ ১৪টি প্রদেশে জরুরি কারণ ছাড়া প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এতে কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তে জানান, কোয়ারেন্টাইনের অন্তর্ভুক্ত প্রদেশগুলো হলো: মদেনা, পার্মা, পিয়াকেনৎসা, রেগিও এমিলিয়া, রিমিনি, পেসারো, উরবিনো, আলেসানদ্রিয়া, আস্তি, নোভারা, ভার্বানো, কুসিও অসোলা, ভারচেলি, পাদুয়া, ত্রেভিসো এবং ভেনিস।
কোয়ারেন্টাইনের অংশ হিসেবে যে ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হবে তা হলো: নাইট ক্লাব, জিম, সুইমিং পুল, মিউজিয়াম এবং স্কি রিসোর্ট বন্ধ থাকবে। রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে খোলা থাকবে কিন্তু কাস্টোমারদের একে অপরের কাছ থেকে অন্তত এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া, ফুটবলসহ খেলার অনুষ্ঠানগুলো সব পেছানো হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলা হবে। যারা কোয়ারেন্টাইনের এ নিয়ম ভঙ্গ করবে, তাদের তিন মাসের কারাদণ্ড হতে পারে।
ইতালিকে ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)।
শনিবার ইতালির ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডি) শীর্ষ নেতা নিকোলা জিংগারেত্তি জানিয়েছেন, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত বাড়িতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
দ্রুত বাড়তে থাকা প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সাহায্য চাওয়ার কথা ভাবছে দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এফএম