সোমবার (০৯ মার্চ) এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
মার্কেট শেয়ার বাড়াতে বাজারে ক্রুড অয়েলের যোগান বাড়িয়ে দিয়েছে সৌদি আরব।
ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ২৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৪৭ মার্কিন ডলার প্রতি ব্যারেল। বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৯১ সালের পর এ প্রথম তেলের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর শেয়ারবাজার নিম্নমুখী। এরই মধ্যে তেলের দাম কমায় আরও ধস নেমেছে শেয়ারবাজারে। সোমবার এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোতে সূচক আগের চেয়ে আরও নিম্নমুখী ছিল।
শুক্রবার (০৬ মার্চ) অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় এক আলোচনা সভায় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠনের (ওপেক) সঙ্গে বিবাদ তৈরি হয় রাশিয়ার। করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রমশ নিম্নমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওপেক, এতে সম্মত হয়নি রাশিয়া। শুক্রবার ওপেক ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনার পরই তেলের দাম কমে ১০ শতাংশ।
করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রুড অয়েলের চাহিদা আগেই নিম্নমুখী ছিল। এরই মধ্যে সৌদি আরবের সিদ্ধান্তে তেলের বাজার আরও উত্তপ্ত হলো। আগামী এপ্রিল মাসে তেল বিক্রির দর ছয় থেকে আট মার্কিন ডলার কমিয়েছে দেশটি। মার্কেট শেয়ার বাড়ানো ও রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির জন্যই দেশটি এ কাজ করেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
রাশিয়ার তেল উৎপাদন না কমানোর সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানও। তেলের দাম কমায় ক্ষতির সম্মুখীন হবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়ার এ আক্রমণ কার্যকর হবে না যদি না দীর্ঘদিনের জন্য তেলের দাম কম থাকে।
২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে তেলের দাম কমায় কয়েক ডজল তেল ও গ্যাস প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যায় এবং লাখো কর্মী চাকরি হারায়। সে সময় তেলের বাজারে শক্তিশালী হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের তেল ইন্ডাস্ট্রি। তারপর বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ হয়ে ওঠে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
এফএম