শুক্রবার (১৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
ডব্লিওটিটিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্লোরিয়া গুয়েভারা বলেন, ‘এ মহামারী পর্যটন শিল্পে উল্লেখযোগ্য হুমকি।
কোভিড-১৯ রোগের কারণে বিশ্বজুড়ে হাজারও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে এয়ারলাইন্সগুলো। নতুন কাস্টোমারদের জন্য ভ্রমণ খরচ স্থগিত করেছে অনেক বীমা কোম্পানি।
ডব্লিওটিটিসির জানায়, ২০২০ সালে পর্যটন খাত আনুমানিক ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে।
এ শিল্প রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে: ভিসা ব্যবস্থা ছাড়াই বা সহজ সুবিধায় সম্ভব হলে কম খরচে ভিসা দেওয়া; বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলোতে অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ শিথিল করা, পর্যটকদের ওপর আরোপিত ট্যাক্স কমানো; ভ্রমণ স্থানগুলো প্রচারে বরাদ্দ বাড়ানো।
গুয়েভারা বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আরও বলিষ্ঠ হয়ে ওঠার শক্তি ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের রয়েছে।
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব রোধ করতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অনেক দেশ। এতে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পর্যটন শিল্প।
যাত্রীবাহী জাহাজ প্রতিষ্ঠান ‘প্রিন্সেস ক্রুইজেস’ তাদের সব ধরনের কার্যক্রম আগামী ১৮ মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে।
গত মাসে চাইনিজ এয়ারলাইনে যাত্রী কমেছে ৮৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ইজি জেট, নরওয়েজিয়ান এয়ার তাদের ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে।
সামনের দিনগুলোতে ফ্লাইট বাতিল বা স্থগিতের সংখ্যা ক্রমেই আরও বাড়তে পারে। এ ভাইরাসের কারণে টিকে থাকাই ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কোরিয়ান এয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২০
এফএম