শুক্রবার (১৩ মার্চ) ইরাকি সামরিক বাহিনী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
বুধবার (১১ মার্চ) ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কাছে এক সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলায় মার্কিন নেতৃত্বের ন্যাটো সামরিক বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হওয়ার পর এ হামলা চালানো হয়।
ইরাকি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ইরাকের বিভিন্ন স্থানে রাতভর মার্কিন বিমান হামলায় ইরাকি সেনাবাহিনীর তিন সদস্য, পুলিশ বাহিনীর দুই সদস্য এবং এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এছাড়া আরও চার ইরাকি সেনা, দুই পুলিশ সদস্য, একজন বেসামরিক নাগরিক এবং ইরানপন্থি ইরাকি আধাসামরিক বাহিনী হাশাদ আলশাবির পাঁচ সদস্য বিমান হামলায় আহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
নিহত বেসামরিক নাগরিক ইরাকের কারবালায় নির্মিত হতে যাওয়া নতুন বিমানবন্দরে কাজ করতেন। বিমানবন্দরটিতে মার্কিন হামলায় তিনি নিহত হন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
হামলার বিষয়ে শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, ইরাকে ইরানপন্থি আধাসামরিক বাহিনীর ব্যবহৃত পাঁচ অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। এ অস্ত্রাগারগুলো ইরাকে অবস্থান নেওয়া মার্কিন নেতৃত্বের ন্যাটো জোটভুক্ত সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার হয়ে আসছিলো।
এদিকে মার্কিন এ বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ইরাকে নিযুক্ত মার্কিন ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমেরিকান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ আলী আল-হাকিম মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি ইরাকে নিযুক্ত ব্রিটিশ ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের তলবের নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার দিনগত রাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কাছে এক সামরিক ঘাঁটিতে অজ্ঞাত রকেট হামলায় এক ব্রিটিশ সেনা, এক মার্কিন সেনা ও এক মার্কিন ঠিকাদার নিহত হন।
মার্কিন বাহিনী এ হামলার জন্য ইরান ও ইরানপন্থি আধাসামরিক বাহিনীকে দায়ী করলেও হামলার দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২০
এবি