কানাডার সানিব্রুক গবেষণা সংস্থা, টরেন্টো ইউনিভার্সিটি ও ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী ও গবেষক জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তারা করোনা ভাইরাসের গঠনকাঠামো আলাদা করতে ও তার প্রতিলিপি তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন। এই প্রতিলিপির মাধ্যমে বড় আকারে করোনা ভাইরাসের জীবতত্ত্ব বুঝে ওঠা যাবে।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এক বিবৃতিতে ওই বিজ্ঞানীরা জানান, সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত কানাডার দুই রোগীর শরীর থেকে তারা এ ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে গবেষণা চালান। এবং এক পর্যায়ে করোনার গঠনকাঠামো চিহ্নিত ও এর প্রতিলিপি তৈরিতে সক্ষম হন।
গবেষক দলে থাকা ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির এনএসইআরসি বিষয়ক পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো আরিঞ্জয় ব্যানার্জি বলেন, ‘আমরা কভিড-১৯ ভাইরাস সৃষ্টির নিয়ামক সার্স-কভ-২ ভাইরাসকে আলাদা করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমরা এ বিষয়ক তথ্যউপাত্ত অন্য গবেষকদের জানাবো। একটা টিমওয়ার্কের মধ্য দিয়ে কাজ এগোবে। ’
‘এভাবে ল্যাবে এ ভাইরাসের যতো প্রতিলিপি তৈরি করা যাবে গবেষণা ততো এগোবে। করোনা মহামারীর প্রতিষেধক আবিষ্কারে আমাদের প্রধান বিষয়গুলো খুঁজে বের করতে হবে। এ মুহূর্তে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু করাটা জরুরি। দরকারি গবেষণার মধ্য দিয়ে এই নভেল ভাইরাসের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। ’
এদিকে প্রাণঘাতী কভিড-১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক উদ্ভাবনে চীনের ৮টি সংস্থা ৫ ধরনের গবেষণা চালাচ্ছে। আগামী মাসের মধ্যে তারা খুব জরুরি প্রয়োজনে ও মেডিক্যাল ট্রায়ালের জন্য এক ধরনের প্রতিষেধক উদ্ভাবন করতে পারবে বলে আশা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
এইচজে