শুক্রবার (১৩ মার্চ) দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ আগামী ১৫ দিনের জন্য এ জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন। শনিবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রীসভার বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্পেনে বর্তমানে ৪ হাজার ২০৯ জন করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার মানুষ। মারা গেছেন ১২০ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
জরুরি অবস্থা জারির প্রসঙ্গে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রত্যেক নাগরিকের জীবনের সুরক্ষা মানুষকে যতোটা পারা যায় কম বিপত্তিতে ফেলে আমরা এ মহামারী ঠেকাবো। সব নাগরিককে যার যার জায়গা থেকে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই আশঙ্কা করতে হচ্ছে যে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো স্পেনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ’
এরই মাঝে দেশটিতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে সানচেজ বলেন, করোনা ছড়ানোর হার কমাতে এ পরিস্থিতিতে হাত ধোয়া ও ঘরে থাকাই বীরত্ব।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এর আগে শুক্রবার (১৩ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় ,ঋতের সংখ্যা ৪১ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
এইচজে