মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে অবস্থিত কাইসের পারমানেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চার রোগীর মধ্যে এ প্রতিষেধকের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু হলো।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এ প্রতিষেধকটি বা অন্য যেগুলো নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে, সেগুলো কাজ করবে কিনা তা জানতে আরও অনেক মাস সময় লাগবে।
সোমবার (১৬ মার্চ) প্রতিষেধকটি প্রথম পরীক্ষা করা শুরু হয় দুই শিশুর মা ৪৩ বছর বয়সী জেনিফার হলারের ওপর। তিনি বলেন, ‘কিছু করার জন্য এটা খুব দারুণ একটা সুযোগ। ’
বিশ্বজুড়ে দ্রুত গতিতে এ গবেষণা কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থ সহায়তায় মানুষের ওপর এ প্রতিষেধকটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে সাধারণত যে কোনো প্রতিষেধক প্রথম পরীক্ষা করা হয় প্রাণীদের ওপর। সেটি না করেই সরাসরি মানুষের ওপর এটি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তবে প্রতিষেধকটি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বায়োটেকনোলজি কোম্পানি মডার্না থেরাপেটিক্স জানায়, বিশ্বাসযোগ্য কার্যকর পদ্ধতিতে এটি তৈরি করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ইমেপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. জন ট্রেগনিং বলেন, ‘আগের প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এ প্রতিষেধকটি তৈরি করা হয়েছে। এতে মানুষের জন্য নিরাপদ এমন উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে এবং যাদের ওপর পরীক্ষা করা হচ্ছে, তারা নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন। ’
সাধারণত একটি ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করা হয় দুর্বল বা মৃত ভাইরাস থেকে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক সেটি দিয়ে তৈরি হয়নি। ল্যাবে ভাইরাসটির জেনেটিক কোড কপি করে এমআরএনএ-১২৭৩ প্রতিষেধকটি তৈরি করা হয়েছে।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে প্রতিষেধকটির ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা দিয়ে দেখা হবে। প্রথম ইনজেকশনের ২৮ দিন পর হাতের ওপরের দিকের পেশিতে দ্বিতীয় ইনজেকশনটি দেওয়া হবে। এ পরীক্ষার ফলাফলে প্রতিষেধকটির কার্যকারিতার প্রমাণ মিললেও সেটি সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য হতে আরও ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
এফএম