বুধবার (১৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে একজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ছয় হাজার তিন শতাধিক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের।
এ পরিস্থিতিতে সান ফ্রান্সিসকো বে অঞ্চলের মতো নিউইয়র্ক সিটিকেও অবরুদ্ধ করে রাখার কথা ভাবছে প্রশাসন। ওই শহরের মেয়র বিল দে ব্ল্যাসিও জানান, শহরের ৮৫ লাখ বাসিন্দা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত আগামী দু’দিনের মধ্যেই নেওয়া হবে।
শহর অবরুদ্ধ হয়ে গেলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। দে ব্ল্যাসিও বলেন, ‘এটা খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত। আমরা আগে কখনো এ অবস্থায় আসিনি। নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে এমন কোনো ঘটনার কথা আমি কখনোই শুনিনি। ’
৭ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো বে অঞ্চলের ৬৭ লাখ বাসিন্দাকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানান, স্টেট গভর্নর অনুরোধ করলে ভাইরাস আক্রান্ত অঞ্চলগুলোতে অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে মার্কিন সেনাবাহিনীকে ডাকতে পারে হোয়াইট হাউস।
পেন্টাগন চিফ মার্ক এসপার জানান, ৫০ লাখ রেসপিরেটরি মাস্ক ও দু’ হাজার ভেন্টিলেটর প্রস্তুত রাখবে মার্কিন সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার ১১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে ফ্লোরিডা জরুরি অবস্থা জারি করেছে। বেশিরভাগ শপিং সেন্টার, রেস্তোরাঁ ও পানশালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ‘কেন্টাকি ডার্বি’ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেছানো হয়েছে। অন্য খেলার অনুষ্ঠানগুলোও পেছানো হচ্ছে।
অপরদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা গোটা দেশ অবরুদ্ধ করে দিতে পারি। আশা করি, সেটা আমাদের প্রয়োজন হবে না, কেননা এটি খুব বড় একটি পদক্ষেপ। ’
টুইটে নতুন করোনা ভাইরাসকে ‘চাইনিজ ভাইরাস’ সম্বোধন করার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা তো চীন থেকেই এসেছে। এটাকে মহামারি ঘোষণা করার অনেক আগেই আমার মনে হয়েছিল এটা মহামারি। ’
যদিও গত মাসেই তিনি বেশ আশাবাদী হয়ে বলেছিলেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শূন্যের কাছাকাছি হয়ে যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এফএম