সংস্থাটি জানিয়েছে, ভ্যাকসিন তৈরির ওইসব প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আবিষ্কৃত হবে কোভিড–১৯ প্রতিরোধের ভ্যাকসিন।
বিশ্বের ১৭৬টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। এ পর্যন্ত মারা গেছে ১১, ৮৪২ জন।
সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে নতুন করোনাভাইরাসের ২০টি ভিন্ন ভিন্ন ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে। কোভিড–১৯–এর জিন সিকোয়েন্স তৈরির মাত্র ৬০ দিনের মাথায় এসব ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর আর এত দ্রুত সময়ে কোনো ভ্যাকসিন তৈরি ও পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নজির নেই।
ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়া খুব দ্রুত ও নাটকীয়ভাবে এগোচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মসূচির টেকনিক্যাল লিড মারিয়া ভ্যান কেরখোভে। তিনি বলেছেন, সামর্থ্যের চেয়েও দ্রুত এগোতে পারছি আমরা। আগের গবেষণা নতুন ভাইরাসের ক্ষেত্রে কাজে লাগছে।
তবে একটি নিরাপদ ভ্যাকসিন তৈরি করতে ১৮ মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান বলছেন, এত দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরির কাজ এগিয়ে নেওয়া কখনই সম্ভব হতো না, যদি না চীন ও অন্যান্য দেশ কোভিড-১৯-এর জিনেটিক সিকোয়েন্স অন্যান্য দেশকে না জানাত।
গত ডিসেম্বরে নতুন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় চীনের উহানে। এরপর তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশেও এ ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন ২ জন। সংক্রমণের শিকার হয়েছে ২৪ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
নিউজ ডেস্ক