রোববার (২২ মার্চ) সকাল থেকে জনশূন্য কলকাতার রাজপথ। দুই-একটি ট্যাক্সি, হাতে গোনা সরকারি বাস ছাড়া পথে নামেনি কোনো গণপরিবহন।
সকালে ফাঁকা লোকাল ট্রেনের কামরা। কোনো কোনো বাজারে দুই-একটি দোকান খুললেও দেখা পাওয়া যায়নি ক্রেতার। চেনা ব্যস্ততার সামান্যতম চিহ্ন নেই বেহালার শকুন্তলা পার্ক, বকুলতলা বাজার থেকে উত্তর কলকাতার পাতিপুকুরের পাইকারি মাছের বাজারে।
এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১৫। এ রাজ্যেও চারজনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের অস্তিত্ব। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশবাসীর কাছে সময় চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রোববার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা সেই অনুযায়ী পালন করা হচ্ছে জনতা কারফিউ। প্রথম পর্যায়ে ১৪ ঘণ্টা চলবে এ কারফিউ।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে জনতার কাছে স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বলেছিলেন, সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতেই মানুষের স্বার্থে ওই জনতা কারফিউ ডাকা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জনতা কারফিউয়ের সিদ্ধান্ত একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। অনেকের মতে, এ সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এ প্রয়োগের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে আরও বড় মাপের লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে সরকার।
জনতা কারফিউ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সতর্ক থাকুন। আতঙ্কিত নয়। বাড়িতে থাকাই কেবল গুরুত্বপূর্ণ নয়, আপনি যে শহরে রয়েছেন সেখানেই থাকুন। অহেতুক সফরে আপনার বা অন্যদের কারো লাভ হবে না। এ সময়ে আমাদের প্রতিটি ছোট পদক্ষেপও বড় মাপের প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২০
আরবি/