রোববার (২২ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
মন্তিসভার এক বৈঠকের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ঘোষণা দেন, সোমবার (২৩ মার্চ) থেকে পানশালা, ক্লাব, জিম, সিনেমা হল এবং উপাসনালয় বন্ধ থাকবে দেশটিতে।
বর্তমানে দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩১৫ এবং মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫৩৩ জন, যা সবচেয়ে বেশি। ভিক্টোরিয়ায় কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২৯৬ জন। এছাড়া, কুইন্সল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৯ জন।
নতুন নিষেধাজ্ঞার পর সুপারমার্কেট, পেট্রোল স্টেশন, ফার্মাসি এবং হোম ডেলিভারি সার্ভিস ছাড়া অন্য সব দোকান বন্ধ থাকবে।
মরিসন জানান, তিনি স্কুল খোলা রাখতে চাচ্ছেন কিন্তু অভিভাবকরা চাইলে সন্তানদের বাসায় রাখতে পারেন। শিশুদের পুরো এক শিক্ষাবর্ষ হারাতে দিতে চান না বলে জানান তিনি।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান না মেনে সিডনিতে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যান অনেক মানুষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।
মরিসন জানান, জনসাধারণ নিয়ম মেনে না চলায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে এখনই গোটা দেশ লকডাউন করা এবং সবাইকে ঘরে অবরুদ্ধ থাকতে বলা হচ্ছে না।
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রেনডান মার্ফি বলেন, ‘বিশেষ করে তরুণদের উপলব্ধি করতে হবে যে এখন তাদের খুব আলাদা জীবন যাপন করতে হবে। ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের বাড়ির বাইরে বের হওয়া বন্ধ করতে হবে। ’
অন্যদিকে, করোনা ভাইরাসের কারণে হওয়া অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন মরিসন। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক একসঙ্গে ১৮৯ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান এয়ারলাইন্স এবং বিমানবন্দরকে ৭১৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) থেকে সাউথ অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া এবং দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় এলাকার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। যারাই এসব এলাকায় প্রবেশ করবেন, তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করা হবে।
ইতোমধ্যে দ্বীপরাষ্ট্র তাসমানিয়ায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ২০২০ সালের অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগ স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২০
এফএম