শনিবার (৪ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
ট্রাম্প করোনা ভাইরাস নিয়ে শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) ব্রিফিংয়ের সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজরি এজেন্সির সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) ফেস মাস্ক পরার বিষয়ে পরামর্শ তুলে ধরেন।
ট্রাম্প বলেন, আপনাকে এটা করতে হবে না। আমার চিন্তা হলো, আমি এটা (ফেস মাস্ক পরা) করতে যাচ্ছি না।
দেশটিতে যখন ২ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত এবং করোনা ভাইরাসে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আর বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১০ লাখ এমন সময়ে ফেস মাস্ক পরার বিষয়ে পরামর্শ দিল সিডিসি।
এখন পর্যন্ত কারা ফেস মাস্ক পরবেন তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, শুধুমাত্র যারা কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত বা যারা রোগীদের সেবা করছেন তাদের মাস্ক পরা উচিত।
তবে, সাম্প্রতিক সময়ে সবাইকেই মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, অজান্তে সংক্রমণ এড়াতে প্রত্যেকের ফেস মাস্ক ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, আমরা এ রোগের সংক্রমণ বিষয়ে আগে যা ভাবতাম তার বদল ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো লক্ষণ না থাকার পরও অনেকের কাছে থেকে এ রোগ সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে।
সিডিসি’র পরামর্শ অনুযায়ী এসময় তিনি কোনোভাবেই যে মাস্ক পরতে রাজি নন তা আবার জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘এটা আমি পালন করতে রাজি নই। ওভাল অফিসে বসে এটা অসম্ভব...। ’
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যখন তারা মানুষের সামনে আসবে তখন যেন পরিষ্কার কাপড় বা ফ্যাব্রিক দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, বর্তমানে মেডিক্যাল মাস্কের স্বল্পতা রয়েছে এবং এগুলো স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য রাখা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২০
এএটি/এইচএডি/