তিনি বলেন, গত ৭০ বছর ধরে আমরা যা প্রতিহত করে আসছি, তার চেয়ে ভিন্ন এক যুদ্ধের মুখোমুখি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে এ যুদ্ধ সব ইউরোপীয় প্রকল্পের ভবিষ্যতকে পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছে।
ব্যতিক্রম এ পরিস্থিতিতে অবিচল অবস্থানে থাকতে হবে: হয় আমরা এ সংকট মোকাবিলা করতে পারবো, নাহয় একটি জোট হিসেবে আমরা ব্যর্থ হবো। এমন এক সংকটকালে আমরা পৌঁছেছি যে, সবচেয়ে একাগ্র ইউরোপীয় দেশ ও সরকারেরও প্রতিশ্রুতির সত্যিকার প্রমাণ প্রয়োজন; যেমনটা হয়েছে স্পেনের ক্ষেত্রে। আমাদের অবিচল একতা দরকার।
ইইউর চুক্তিগুলোর মূলনীতি হলো ইউরোপীয়দের মধ্যে একতা। এরকম সময়েই সেটি দেখানো প্রয়োজন। একতা ছাড়া কোনো সংযোগ সম্ভব নয়; সংযোগ না থাকলে বিভেদ তৈরি হবে এবং ইউরোপীয় প্রকল্পের বিশ্বাসযোগ্যতা গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
গত কয়েক সপ্তাহে আমরা উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছি, যেমন: ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাময়িক জরুরি ক্রয় প্রকল্প এবং চাকরিহারাদের জন্য ইউরোপীয় কমিশনের পরিকল্পনা; কিন্তু এসব যথেষ্ট নয়। আমাদের আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।
যুদ্ধকালীন অর্থনীতি গড়তে হবে ইউরোপকে এবং ইউরোপীয় প্রতিরোধ শক্তি প্রচার করতে হবে, পুনর্নির্মাণ ও পুনরুদ্ধার করতে হবে। স্পেনসহ অনেক রাষ্ট্র যে ঋণ নিচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভবতাতে সহায়তা করার উদ্যোগ নিতে হবে। জরুরি অবস্থা শেষ হলেও, সেটি করতে হবে; এ মহাদেশের অর্থনীতি পুনর্নির্মাণের জন্য নিউ মার্শাল প্ল্যান কার্যকর করতে হবে, যেখানে ইউরোপের সব সাধারণ সংস্থাগুলোর সাহায্য লাগবে।
ধ্বংসস্তূপ ও সংঘর্ষ থেকে জন্মেছিল ইউরোপ। এটি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েছিল এবং বুঝতে পেরেছিল সেই সহজ কথা: আমরা সবাই যদি না জিতি, শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই হারবো।
এ সংকটকে আরও শক্তিশালী ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্মাণের সুযোগে পরিণত করতে পারি আমরা। কিন্তু এটি করতে হলে, আমাদের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি ক্ষুদ্র চিন্তা করতে থাকি, আমরা হারবো।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
এফএম