সোমবার (০৬ এপ্রিল) চীনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানায়।
বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দু’ধরনের: যাদের লাইসেন্স বাতিল হয়ে গেছে এবং যারা নিজেরাই কার্যক্রম বন্ধ করেছে।
সেই সঙ্গে নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠার হার কমে গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ৩২ লাখ নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ২৯ শতাংশ কম।
নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগই চীনের গুয়াংদং প্রদেশের মতো অর্থনৈতিক শক্তির কেন্দ্রগুলোতে অবস্থিত। এর অর্ধেকই আবার খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টিই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতি তুলে ধরে। ১৯৭৬ সালের পর প্রথমবারের মতো সঙ্কুচিত হওয়ার ঝুঁকিতে দেশটির অর্থনীতি।
দেশের ভেতরে ও বাইরে চাহিদা কমে যাওয়ায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতেও নানা বাধা পেরোতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হলে দেউলিয়া হওয়ার প্রমাণ দিতে হয় বা কোনো অপরিশোধিত ঋণ নেই সেটি নিশ্চিত করতে হয়। বিনিয়োগকারীরা দেউলিয়া হওয়ার মামলা করলেও, আদালতে সেটি অনুমোদন পেতে কয়েক মাস সময় লাগে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায়ও স্বাভাবিকের চেয়ে আরও অনেক বেশি সময় লাগছে। এ প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
এফএম