মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এই জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
টোকিও ছাড়া জরুরি অবস্থার আওতাভুক্ত বাকি এলাকাগুলো হলো- কানাগাওয়া, সাইতামা, চিবা, ওসাকা, হোয়গো ও ফুকওকা।
জরুরি অবস্থা ঘোষণাকালে জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব এলাকায় ইউরোপীয় স্টাইলে লকডাউন করা হচ্ছে না। জরুরি অবস্থায় টোকিওর গভর্নর ও অন্য ৬ অঞ্চলের প্রধানরা মানুষজনকে ঘরে থাকার ও ব্যবসা বন্ধের অনুরোধ জানাবেন। এর সবকিছুই অনুরোধ, কোনো ধরনের জোরাজুরি বা শাস্তির আওতাভুক্ত নয়।
(ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি) মানুষের জীবন ও অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলার আশঙ্কা রয়েছে, এ পরিস্থিতিতে এই জরুরি অবস্থা জারি করা হলো বলে জানান শিনজো আবে।
বেশ কয়েক মাস আগে জাপানে প্রথম করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়। কিন্তু, শুরুতে দেশটিতে করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত ছিল। সেই মাত্রায় আক্রান্ত বা মৃতের ঘটনা ঘটছিল না। সম্প্রতি জাপানে এ ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৬ এপ্রিল) দেশটিতে নতুন করে ২৫২ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়। নতুন করে মৃত্যু হয় ৭ জনের। জাপানে এরখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ৪ হাজার ৬০০ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের। সার্বিক পরিস্থিতিতে শেষমেশ জরুরি অবস্থার ঘোষণা এলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
এইচজে