শুক্রবার (১০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
ইউরোগ্রুপের চেয়ারম্যান মারিও সেন্তেনো এ সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দেন।
এর আগে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছিলেন, করোনা ভাইরাস মহামারিতে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তার দেশ। এ সংকট মোকাবিলায় গোটা ইউরোপকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইউরোপে স্পেনেই সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার এবং মারা গেছেন ১৫ হাজার ৫শ’ জন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান সতর্ক করে জানান, ১৯৩০ সালের ‘গ্রেট ডিপ্রেশন’ এর পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখে বিশ্ব।
ব্রাসেলসের আলোচনায় করোনা ভাইরাস সংকটের খরচ মেটাতে করোনাবন্ড ইস্যু করার প্রস্তাব দিয়েছিল ফ্রান্স ও ইতালি। সে প্রস্তাবে সম্মত হননি ইইউ মন্ত্রীরা।
সংকট মোকাবিলায় ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি) দেড় ট্রিলিয়ন ইউরোর সহায়তা ঘোষণার আহ্বান জানালেও তার চেয়ে বেশ ছোট প্যাকেজে সম্মত হয়েছে ইইউ।
তবে ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মাইরে এ প্যাকেজকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ইইউর ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এটি। ’
বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৬ লাখ কোটি টাকার এ সহায়তা প্যাকেজে রয়েছে, ইউরোপিয়ান স্ট্যাবিলিটি মেকানিজমের জন্য ২৪০ বিলিয়ন ইউরোর অর্থ সাহায্য, যা ঋণগ্রস্ত দেশগুলোকে দেওয়া হবে। ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের একটি প্রজেক্টে দেওয়া হবে ২০০ বিলিয়ন ইউরো।
বুধবার (০৮ এপ্রিল) চুক্তিটি হওয়ার কথা থাকলেও সহায়তা বরাদ্দ কীভাবে খরচ করা হবে এ নিয়ে ইতালি ও নেদারল্যান্ডস বিবাদে জড়িয়ে পড়ায় একদিন অতিরিক্ত সময় লাগলো।
চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরপরই ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ইতালির প্রেসিডেন্ট দাভিদ সাসলি বলেন, ‘ইউরোপের ওপর আমাদের বিশ্বাস সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
এফএম