শুক্রবার (১০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জানায়, করোনা ভাইরাস মহামারি তাদের অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে এবং এ কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক কমাতে হতে পারে।
আয় গত বছরের সমপর্যায়ে রাখার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তবে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের যেসব অফার দেওয়া হয়েছে, তা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
যুক্তরাজ্যের উচ্চশিক্ষার সঙ্গে জড়িত নেতারা এক চিঠিতে মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকারের সহায়তা ছাড়া, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনৈতিকভাবে ব্যর্থতার মুখোমুখি হবে এবং অন্যগুলো অর্থনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হবে। ’
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টার জারভিস জানান, অর্থ সহায়তার এ প্রস্তাব কোভিড-১৯ এর আর্থিক সংকট মোকাবিলায় তাদের সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে শিক্ষা গবেষকরা ‘বিশাল সহায়তা’ দিয়েছেন। অর্থনীতি ও সম্প্রদায়কে এ সংকট থেকে পুনরুদ্ধারে তাদের জ্ঞান আমাদের প্রয়োজন হবে।
গবেষণা বরাদ্দ হিসেবে আরও দুই বিলিয়ন পাউন্ড দেওয়ার আহ্বান জানান তারা। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জরুরি ঋণ দিতে বলছেন।
বিজ্ঞান ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে লক্ষ্য করে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন শিক্ষাবিষয়ক নেতারা।
মহামারিতে আর্থিক সংকটে যা হতে পারে:
বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফি হিসেবে প্রায় ৭ বিলিয়ন পাউন্ড আয় করে। এ শরতে আয়ের পরিমাণ কমার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্যবসা কার্যক্রম, সম্মেলন, খাদ্য ও আবাসনে ইতোমধ্যে তাদের ক্ষতি হয়েছে ৭৯০ মিলিয়ন পাউন্ড।
তাছাড়া শরতে ক্যাম্পাস আবার খুলবে কিনা, এনিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ বছর অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করতে পারে।
এ বছরের ভর্তি কার্যক্রমে অভূতপূর্ব অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী অতিরিক্ত কমে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির কারণে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়তে পারে। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভর্তি ফির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তাই তারা আরও বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
এফএম