সম্প্রতি ভারতীয় বাদুড়ের মধ্যে করোনা ভাইরাসের জীবাণু আছে কি-না, তা জানতে দেশটির বিভিন্ন প্রজাতির বাদুড়ের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) বিজ্ঞানীরা। তাতে, তেরোপাস (ইন্ডিয়ান ফ্লাইং ফক্সেস) ও রুসেটাস (ফ্রুট ব্যাটস), এই দুই প্রজাতির মধ্যে করোনা জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেছে।
স্বাভাবিকভাবে বাদুড় বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বহন করে। যেমন: রেবিজ, হেন্দ্রা, নিপা ও ইবোলা। এরমধ্যে অনেকগুলো মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। আবার সম্প্রতি বলা হচ্ছে, সার্স-সিওভি-২ করোনা ভাইরাস, যা কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী। তা-ও বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে এসেছে।
বাদুড়ের ওপর যে সাম্প্রতিক গবেষণা চালানো হয়েছে, তা যৌথভাবে সম্পন্ন করেছে আইসিএমআর ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি)। সেখানে বলা হয়েছে, বাদুড় ভাইরাসের প্রাকৃতিক রিজার্ভার। এরমধ্যে অনেকগুলো ভাইরাস আছে, যা মানুষরে পক্ষে ক্ষতিকারক।
আইসিএমআরের তথ্য অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান ফ্লাইং ফক্সেসের ৫০৮টি নমুনা এবং রুসেটাসের ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে চারটি রুসেটাস এবং ২১টি ইন্ডিয়ান ফ্লাইং ফক্সেসের শরীরে ব্যাট-করোনা ভাইরাস (বিটি-সিওভি) মিলেছে।
আর এ কারণেই গবেষকরা নিশ্চিত হতে পারছেন না, বাদুড় থেকেই মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কারণ বিটি-সিওভি ও মানব শরীরে মেলা সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনা ভাইরাস-২ (সার্স-সিওভি-২) এর যে যোগসূত্র, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন গবেষকরা।
আইসিএমআরের মহামারি ও সংক্রমিত রোগ বিভাগের প্রধান গঙ্গাখেড়কর বলেন, বাদুড়ের দুই প্রজাতির মধ্যে যে করোনা ভাইরাস মিলেছে, তার মানুষকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা নেই। বলা যেতে পারে, এক হাজার বছরে একবার হয়তো সেই ঘটনা ঘটে।
এদিকে, শুরু থেকেই চীনা গবেষকদের দাবি, বাদুড় থেকে প্যাঙ্গোলিন এবং সেখান থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি এর। তবে বলছেন, যেকোনো মধ্যবর্তী প্রজাতির মাধ্যমে বাদুড় থেকে মানব শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
টিএ