শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাক্রোঁ বলেন, চীন এ সংকট ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে এমন ইঙ্গিত দেওয়াটা ‘বোকামি’ হবে।
চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পশ্চিমাদেশগুলো বয়স্কদের বৃদ্ধাশ্রমে মরার জন্য ফেলে রেখেছে।
এ অভিযোগে অস্বীকৃতি জানাতে চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে চীন একে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দিয়েছে। দেশটির সরকারের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘ফ্রান্স এ মহামারি কীভাবে মোকাবিলা করছে, এ নিয়ে চীন কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেনি এবং কখনো তা করার ইচ্ছেও নেই। ’
ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪১ হাজার কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। অন্যদিকে চীনে এ রোগে ৪ হাজার ৬৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার উহানে নতুন আরও ১২৯০ জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ করে চীন, যা তারা আগে যোগ করেনি।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, শুরুর দিকের মৃত্যুসংখ্যা যথাযথ ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সসহ আরও অনেক দেশ এ মহামারি নিয়ে চীনের স্বচ্ছতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
চীনের স্বৈরাচারী সরকারের মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পারা পশ্চিমা দেশগুলোর গণতন্ত্রের দুর্বলতা প্রকাশ করে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্রো বলেন, ‘যেসব জায়গায় সত্য চেপে রাখা হয়, তার সঙ্গে উন্মুক্ত সমাজের তুলনা চলে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
এফএম