রাজ্যের অ্যাটোর্নি জেনারেল এরিক শ্মিট বলেছেন, ‘চীন সরকার বিশ্বের কাছে মিথ্যা বলেছে। এই ভাইরাসের বিপদ ও সংক্রমণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়নি।
মানুষের জীবন, দুর্ভোগ ও অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে এই মামলায়।
চীন অবশ্য বেশ শক্তভাবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও চীনের অভ্যন্তরে ভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা নিয়ে চীনের বক্তব্যের প্রতি সন্দেহ পোষণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, চীন যেভাবে এই ভাইরাস সামলেছে সেটা পরিষ্কার নয়।
তবে এর আগে করোনা মোকাবিলায় চীনের প্রশংসা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ট্রাম্প মত বদল করেন।
এই মুহূর্তে করোনা মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মারা গেছে এবং ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৮ লাখেরও বেশি মানুষের দেহে।
তবে এই মামলা করার বিষয় নিয়ে ট্রাম্প সরকারও সমালোচনার মুখে পড়েছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর টম জিন্সবার্গ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার অনেক ভুল করেছে। সেখানে এখন চীনের দিকে আঙুল তোলা নিজেদের ভুল ঢাকারও একটা চেষ্টা। ’
তবে এ মামলা নিয়ে চীন মোটেই উদ্বিগ্ন নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে কোনো দেশের বিরুদ্ধে মামলা হলে তা চলে না। যদি মামলাটি আন্তর্জাতিক আদালতে করা হয়, তবেই চীন আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য দিতে বাধ্য থাকবে।
তবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চীনের ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
চীনের উহান শহর থেকে এই ভাইরাস ছড়ালেও সেখানে খুব বেশি মানুষ মারা যায়নি। তাছাড়া চীনের অন্য কোনো শহরে তা ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েনি।
অথচ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ এখন এ ভাইরাসের কারণে অচল হয়ে পড়েছে।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডমিনিক রাব বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন এই প্রাদুর্ভাব কীভাবে শুরু হল এবং 'কেন তা আরও আগে থামানো গেল না' তা নিয়ে চীনকে 'কঠিন প্রশ্নের' মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি বলেছেন, চীন থেকে এই ভাইরাস কীভাবে বাইরে এভাবে ছড়ালো তা 'গভীরভাবে অনুসন্ধান' করতে হবে এবং এই সঙ্কটের পর 'সব লেনদেন আগের মতই' চালানো যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
নিউজ ডেস্ক