কিন্তু কেন এমন হচ্ছে, তার সদুত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। যদিও অনেকেই তাপমাত্রার কথা বলার চেষ্টা করেন।
এ নিয়ে মার্কিন গবেষকরা অবশ্য একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তারা বলছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় যে বিশেষ ধরনের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে, তা ইউরোপ-আমেরিকার মতো ততটা আগ্রাসী নয়।
মার্কিন সংস্থা ‘ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’-এর গবেষকরা এ দাবি করেছেন।
তারা বৈশ্বিক মহামারির জন্য দায়ী করোনা ভাইরাসকে এ বি ও সি গ্রুপে ভাগ করেছেন। ওই বিজ্ঞানীদের দাবি, এ এবং সি-এর তুলনায় বি টাইপের করোনা ভাইরাস অনেকটাই দুর্বল। আর এই বি টাইপের ভাইরাসই ভারতসহ দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সবেচেয়ে জনবহুল দেশ। চিকিৎসা ব্যবস্থাও শক্তিশালী নয়। ইউরোপ-আমেরিকার মতো এসব দেশে করোনার সংক্রমণ ঘটলে সত্যিই তা চরম বিপর্যয়ের চেয়েও বেশি কিছু হতো। কিন্তু তা হচ্ছে না। হাজারো অনিয়ম আর স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের ঘটনা ঘটলেও এ অঞ্চলে এ ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে না।
ভারতে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার। মারা গেছে ৫৪৩ জন। অন্যদিকে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় চার হাজার মানুষ। মারা গেছেন ১২০ জন।
তবে মার্কিন বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। বাড়তি সতর্কতা না নিলে বিপুল সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হতে বেশি সময় লাগবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
নিউজ ডেস্ক