শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে ১৮ হাজার ৭৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বৃহস্পতিবারই মারা গেছেন ৬১৬ জন।
সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন অবস্থায় রয়েছে দেশটি। এদিকে কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কেননা করোনা ভাইরাস পরীক্ষা না করেই হাসপাতালের বাইরে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের যোগ করা হয়নি এ সংখ্যায়।
মৃত্যুর হার যেমন বেশি, পরীক্ষা করার পরিমাণ এবং সুরক্ষা সরঞ্জামও কম। অর্থনৈতিকভাবেও ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার নির্ধারণকারী কর্মকর্তা জাঁ ভ্লিগে বলেন, ‘এত দ্রুত এবং গভীরভাবে অর্থনীতি সঙ্কুচিত হচ্ছে, যা আমরা বিগত কয়েক শতাব্দীতেও দেখিনি। ’
এ অবস্থা থেকে অর্থনীতি সহজে পুনরুদ্ধার করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মে এবং জুলাই মাসে ১৮০ বিলিয়ন পাউন্ড সরকারি ঋণ ইস্যু করবে যুক্তরাজ্য, যা গোটা অর্থবছরে পরিকল্পিত পরিমাণের চেয়ে বেশি।
বর্তমানে ঋণের পরিমাণ ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। চলতি সরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৪ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এক বছরে এত বিশাল ঋণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর দেখা যায়নি।
চলতি অর্থবছরের বর্তমান প্রান্তিকে মোট উৎপাদনের পরিমাণ কমতে পারে ১৩ শতাংশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অর্থনীতি এতটা সঙ্কোচনের ঘটনাও এ প্রথম।
এসব কাটিয়ে কীভাবে অর্থনীতি ফের সচল করবে যুক্তরাজ্য সেটিই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২০
এফএম