সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়, চাবুক মারার বদলে কারাদণ্ড বা জরিমানার মত শাস্তি দেওয়া হবে।
সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি সংস্কার করতে চান বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। দেশটির সরকার ভিন্ন মতাবলম্বীদের একেবারেই সহ্য করে না। এছাড়া সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত হয় সৌদির রাজপরিবার।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতো, মানবাধিকার ইস্যুতে নিচের সারির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সৌদি আরব। সেখানে সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা একেবারেই সীমিত। সরকারের সমালোচনা করলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১৫ সালে ব্লগার রাইফ বাদাউইকে সাইবার অপরাধ এবং ইসলাম অবমাননার দায়ে জনসম্মুখে চাবুক মারার শাস্তি দেয়ার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছিল
রাইফ বাদাউইকে দশ বছরের জেল এবং এক হাজার চাবুক মারার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
বাদাউইর কারাদণ্ড চলাকালীন ঐ এক হাজার চাবুক প্রতি সপ্তাহে দফায় দফায় মারার কথা ছিল। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তাকে ৫০ বার চাবুক মারাও হয়।
কিন্তু ঐ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর সৌদি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। ফলস্বরুপ রাইফ বাদাউইর চাবুক মারার শাস্তি স্হগিত করা হয়। সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
নিউজ ডেস্ক