করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালনা করা বিশ্বের ৮ জন নারী নেত্রীর কথা তুলে ধরা হয় ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম।
বাকিরা হলেন- সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব, হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম, বলিভিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট জেনাইন আনজ, ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট সাহলে-ওর্ক জেওদে, জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমি জওরাবিচভিলি, নামিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী সারা কুগংগেলোয়া ও নেপালের প্রেসিডেন্টে বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৬১ (১৬ কোটির বেশি) মিলিয়ন মানুষের বাস। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষতার সঙ্গে সঙ্কট মোকাবিলা করা তার জন্য নতুন কিছু নয়। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা মোকাবিলায়ও তিনি নিয়েছেন দ্রুত পদক্ষেপ। যার প্রশংসা করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম।
সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা শেখ হাসিনা সঙ্কট শুরুর পর ফেব্রুয়ারিতে চীন থেকে যেসব বাংলাদেশি ফিরতে ইচ্ছুক তাদের দেশে নিয়ে আসেন। তখনও দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। মার্চের শুরুর দিকে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করার জন্য দেওয়া হয় নির্দেশনা। এরপর দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে করোনা রোগী শনাক্তে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ইতোমধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজারের মতো মানুষের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এরমধ্যে তাৎক্ষণিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ৩৭ হাজারের মতো মানুষকে। যা যুক্তরাজ্য এখনো করছে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের হাতে রয়েছে বিশ্বের ১৮টি দেশের শাসনভার। তারা এ সময়ে তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে সংকট মোকাবিলা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২০
এইচএডি/