সোমবার (২৭ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কোভিড-১৯ রোগকে একজন অপরাধীর সঙ্গে তুলনা করেন, যাকে জনগণ পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্য এখনো সর্বোচ্চ ঝুঁকির আশঙ্কায় রয়েছে জানিয়ে জনসন জানান, ব্যবসা কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি তিনি বুঝতে পারছেন এবং এ বিষয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
তবে এখনই লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিলের কোনো পরিকল্পনা নেই, এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি।
জনসন বলেন, ‘আমরা এখনই বলতে পারছি না কত দ্রুত বা ধীরে বা কখন পরিবর্তন আনা হবে। তবে স্পষ্টভাবেই সামনের দিনগুলোতে এ নিয়ে আরও কথা হবে। ’
তিনি বলেন, ‘গত ছয় সপ্তাহ আমরা যে একতা ও দৃঢ়তা দেখিয়েছি, সেটি যদি অব্যাহত রাখতে পারি তাহলে আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, আমরা একে (ভাইরাস) পরাজিত করবোই। ’
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি কীভাবে ফের সচল হবে, এ নিয়ে মত পার্থক্যের কারণে জনসনের সরকার, দল এবং বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টারা কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন।
জনসন বলেন, ‘দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকির কথা অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে আমাদের। ভাইরাসটির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি এবং সেটির বংশবৃদ্ধির হার বাড়তে দিলে নতুন করে শুধু মৃত্যুর তরঙ্গই বয়ে যাবে তা না, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ও ঘটবে। ’
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০ হাজার ৭৯৫ জন।
এদিকে ভাইরাসটি প্রতিরোধে লকডাউনের ফলে ঋণের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়তে যাচ্ছে দেশটি। এতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বাধিক ঋণের চাপে এবং গত তিন শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে বড় মন্দার মুখে রয়েছে দেশটি।
প্রাদুর্ভাবের শুরুতে কঠোর লকডাউন আরোপ করতে রাজি হননি জনসন। পরে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যুর পূর্বাভাস পেয়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
২৩ মার্চ শুরু হওয়া এ লকডাউন আরোপে দেরি করা, পরীক্ষার সক্ষমতা কম এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার সরঞ্জাম পর্যাপ্ত না থাকার অভিযোগে বিরোধী দল এবং কয়েকজন চিকিৎসকের সমালোচনার শিকার হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ঠিক কখন এবং কীভাবে অর্থনীতি সচলের এবং লকডাউন শিথিলের পরিকল্পনা করছেন জনসন, সেসবের বিস্তারিত জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
এফএম