মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
এক মাস পর অবশেষে সোমবার (২৭ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ার রেস্তোরাঁগুলোতে খাওয়ার অনুমতি পাওয়া গেছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে একাধিক অঙ্গরাজ্য। মনটানা থেকে মিসিসিপিতে জরুরি নয় এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করেছে।
জর্জিয়া ছাড়াও কয়েক সপ্তাহ কঠোর লকডাউনের পর অর্থনৈতিক কার্যক্রম আবার শুরুর পদক্ষেপ নিচ্ছে আলাস্কা, ওকলাহোমা ও সাউথ ক্যারোলিনা।
গত সপ্তাহে জর্জিয়ায় চুলকাটার সেলুন, ট্যাটু পার্লারসহ বেশ কিছু দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এবার এ তালিকায় যোগ হলো রেস্তোরাঁ এবং সিনেমা থিয়েটার। এমন পদক্ষেপ নেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ স্থানীয় কয়েকজন কর্মকর্তা জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান কেম্পের সমালোচনা করেছেন।
দেখার বিষয় কতগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ কার্যক্রমে সাড়া দেবে এবং কাস্টমারের উপস্থিতিই বা কতটা হবে। আটলান্টার কয়েকজন রেস্তোরাঁ মালিক এবং ব্যবস্থাপক এখনো কাজ শুরু করার মতো নিরাপদ বোধ করছেন না।
ম্যানুয়েলস ট্যাভার্নের মালিক ব্রায়ান ম্যালুফ বলেন, ‘এটি নিরাপদ নয়। আমি জানি না আমরা কখন খুলবো কিন্তু আমার মনে হয় না এটি খুব শিগগিরই হতে যাচ্ছে। ’
মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সিতে সীমিত পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতেও আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গভর্নররা।
করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন কোটি মানুষ। মধ্য মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছেন ২ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন নাগরিক। অর্থাৎ প্রতি ছয়জন কর্মীর মধ্যে একজন বেকার ভাতার আবেদন করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে চাকরিহারা মানুষের পরিমাণ হতে পারে ১৬ শতাংশ বা তার বেশি।
গলআপ সার্ভে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছেন।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা মোট ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫১। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৬ হাজার ২৪৫ জন। মৃতদের মধ্যে ১৭ হাজার ৫১৫ জন নিউইয়র্কের এবং এরপরের অবস্থানেই রয়েছে নিউজার্সি অঙ্গরাজ্য। অন্যদিকে জর্জিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৯৯৪ জনের।
নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো বলেছেন, লকডাউন শিথিলের বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বাড়িতে অবস্থান করার সময়সীমা ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে যেসব অঞ্চলে আক্রান্তের হার কম, সেসব অঞ্চলে উৎপাদন এবং নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
এফএম