২০১৯ সালের চতুর্থ বা শেষ প্রান্তিকে স্পেনে বেকারত্বের হার ছিল ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) প্রকাশিত এ তথ্যে বর্তমান পরিস্থিতি আংশিকভাবে উঠে এসেছে কারণ চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষ হওয়ার মাত্র দু’ সপ্তাহ আগে দেশটিতে লকডাউন জারি করা হয়।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে স্পেন। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা মোট ২ লাখ ২৯ হাজার ৪২২। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৩ হাজার ৫২১ জন। ভাইরাসটি প্রতিরোধে গত ১৪ মার্চ থেকে লকডাউন রয়েছে দেশটি।
এনএসআইয়ের জরিপ অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে হারানো কর্মসংস্থানের সংখ্যা ২ লাখ ৮৫ হাজার ৬শ’। তবে সোশ্যাল সিকিউরিটি রেজিস্টারের তথ্য মতে, শুধু মার্চ মাসে হারানো কর্মসংস্থানের সংখ্যা প্রায় নয় লাখ। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এপ্রিল মাসের শুরু পর্যন্ত ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৮২২ জন স্প্যানিশ নাগরিক চাকরি হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার ছিলেন অস্থায়ী কর্মী। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নির্মাণ এবং পর্যটন খাত।
ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তুলনায় স্পেনে বেকারত্বের হার আগে থেকেই বেশি। ২০১৩ সালে অর্থনৈতিক মন্দার সময় এটি প্রায় ২৭ শতাংশে পৌঁছেছিল। প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও ২০১৯ সালের শেষের দিকেও বেকারত্বের হার ১৩ শতাংশের ওপরে ছিল।
ব্যাংক অব স্পেনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস সংকটের কারণে চলতি বছরে বেকারত্বের হার বেড়ে হতে পারে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ। এসময় অর্থনীতি সঙ্কুচিত হবে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
এফএম