মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। করোনা পরীক্ষায় ভুল ফলাফল দেওয়ার অভিযোগে ভারত প্রায় ৫ লাখ চীনা করোনা টেস্টিং কিটের অর্ডার বাতিল করেছে বলে খবরে বলা হয়।
বিবিসি জানায়, চীনের ওইসব টেস্টিং কিট ৩০ মিনিটের মধ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত কিনা, সেই ফলাফল দিতে সক্ষম। পূর্বে আক্রান্ত কারো শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি শনাক্তেও এ কিট কাজে লাগানো হয়। দ্রুত ফলাফল দেওয়ায় এর মাধ্যমে সহজেই একটি এলাকায় করোনার সংক্রমণের হার বের করা সম্ভব। যদিও করোনা শনাক্তকরণে এ ধরনের দ্রুত টেস্টিং কিট ব্যবহারের ব্যাপারে উদ্বেগ দেখিয়েছেন অনেক বিজ্ঞানী।
ভারতে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পরীক্ষা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজ্য ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল’কে (আইসিএমআর) দ্রুতগতিতে করোনা শনাক্তকরণের কিট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য তাগাদা দিতে থাকে। আইসিএমআর শুরুতে দ্রুত শনাক্তকরণ কিট ব্যবহারে অনিচ্ছা দেখালেও, পরে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের কিট আমদানির অনুমতি দেয়।
কিন্তু, ব্যবহার শুরু করার কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যগুলো অভিযোগ জানাতে শুরু করে যে, করোনা শনাক্তে এসব কিটের যথার্থতা মাত্র ৫ শতাংশ। পূর্বে করোনা আক্রান্ত ছিল এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবডি ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। এরপর আইসিএমআর’র পরীক্ষাতেও গুণগত মান নিশ্চিতে ব্যর্থ হয় কিটগুলো।
এরপর সোমবার (২৭ এপ্রিল) চড়া দামে সরকার এসব কিট কিনছে বলে জানায় দিল্লী হাইকোর্ট। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে।
শেষমেশ সার্বিক পরিস্থিতিতেই চীনের ওইসব করোনা কিটের অর্ডার বাতিল করা হয়।
এদিকে দুটি কোম্পানির কিটের কোয়ালিটি নিয়ে আপত্তির জেরে চীনা পণ্যকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলায় ভারতকে নিন্দা জানিয়েছে চীন। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) চীনা দূতবাসের মুখপাত্র জি রং-এর এক বিবৃতিতে ভারতের এ ধরনের আচরণকে অদায়িত্বশীল বলে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
এইচজে