মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুসারে পশ্চিম তীরের বিবিধ অঞ্চলকে ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার পদক্ষেপকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পশ্চিম তীরের অবৈধ ইসরাইলি বসতি অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার ঘোষণার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এ বিবৃতি এলো।
এর আগে সোমবার (২৭ এপ্রিল) কয়েক মাস সরকার গঠনে অচল অবস্থা শেষে ইসরায়েলে সবপক্ষের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নতুন গঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক টেলিভিশন ভাষণে ‘অল্প কয়েক মাসের মধ্যে’ পশ্চিম তীরের ‘অবৈধ ইহুদি বসতি’ ইসরায়েলের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার ঘোষণা দেন।
এ সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর তার বিশ্বাসের কথা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত এ প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে এবং জায়নবাদের ইতিহাসে আমরা নতুন যুগ সৃষ্টি করা মুহূর্ত উদযাপন করবো। ’
নেতানিয়াহুর এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনি নেতারা হুমকি দিয়েছেন, নেতানিয়াহু এ পদক্ষেপ নিলে ফিলিস্তিনিরা চলমান শান্তি চুক্তি বাতিল করবে।
অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতিনির্ধারণ বিষয়ক প্রধান বলেছেন, এ ধরনের অন্তর্ভুক্তি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ এবং তা চলমান শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করবে।
জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত দূত জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর এ পদক্ষেপ আঞ্চলিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করতে পারে।
এর আগে জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন এক মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এ পরিকল্পনায় পুরো জেরুজালেম শহরসহ পশ্চিম তীরের অবৈধভাবে স্থাপিত ইহুদি বসতিসমূহ ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়।
ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি ও আরব রাষ্ট্রগুলো প্রত্যাখ্যান করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
এবি