সোমবার (০৪ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
রোববার (০৩ মে) ফক্স নিউজ সম্প্রচারিত একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ৭৫ হাজার থেকে এক লাখ মানুষ হারাতে যাচ্ছি।
এর আগে শুক্রবার ট্রাম্প আশঙ্কা করেছিলেন, এ মহামারিতে এক লাখের কম মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হবে। এছাড়া, গত সপ্তাহের শুরুতে তিনি ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যুর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন মোট ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৪১ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ হাজার ৬৮২ জন।
সংক্রমণ কমতে শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক সংখ্যক অঙ্গরাজ্যেই লকডাউনের বিধিনিষেধ আংশিক শিথিল করা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা দেশ বন্ধ করে রাখতে পারি না, তাহলে আমাদের দেশই থাকবে না। ’
চলতি বছরের শেষে কোভিড-১৯ এর একটি প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব বলে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
যদিও হোয়াইট হাউস করোনা ভাইরাস টাস্কফোর্সের শীর্ষ নেতা ডা. অ্যান্থনি ফসিসহ অন্য চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, প্রতিষেধক তৈরি হতে আরও অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে।
২২ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ক্রিস হুইটি বলেন, আগামী বছরের মধ্যে করোনা ভাইরাসের কার্যকর প্রতিষেধক বা চিকিৎসা আসার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
এদিকে ট্রাম্প জানান, তিনি চান, শরতে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে ফিরুক। যদিও এতে সংক্রমণ আবার বাড়তে পারে।
করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রণোদনার পরিমাণ ছয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ইতোমধ্যে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।
এদিকে ট্রাম্প আবারও বলেছেন, চীন ‘ভয়াবহ ভুল’ করেছে। তবে চীন কী ভুল করেছে এনিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
অন্যদিকে রোববার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘চীনের গবেষণাগার থেকেই কোভিড-১৯ ছড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট পরিমাণ প্রমাণ রয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২০
এফএম