সোমবার (৪ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, হংকংয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪১ জন এবং মারা গেছেন চারজন। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থামলেও পর্যটনখাতে ধস নামায় এবং দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অঞ্চলটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভাইরাস মোকাবিলায় দক্ষতার পরিচয় দেওয়ায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম ফের শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে হংকং কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে নতুন করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে চাকরি-ব্যবসা নিয়ে অনিশ্চয়তা শুরু হওয়ায় বিপণিবিতানগুলো খুললেও ভোক্তারা কেনাকাটা করতে আগ্রহী নাও হতে পারেন। পাশাপাশি শিগগিরই পর্যটনখাতেও সুদিন আসার সম্ভাবনা নেই। হংকংয়ের জিডিপির বিশাল অংশ আসে এ দু’টি খাত থেকে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত হংকংয়ের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। বার্ষিক ভিত্তিতে অর্থনীতি সঙ্কোচনের পরিমাণ ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এক প্রান্তিকে এত সঙ্কোচন ১৯৭৪ সালের পর এ প্রথম।
এর আগে সরকার পূর্বাভাস দিয়েছিল, চলতি বছরে অর্থনীতি চার শতাংশ সঙ্কুচিত হতে পারে। তবে এবার তারা বলছে, সঙ্কোচনের পরিমাণ হবে সাত শতাংশ। সেইসঙ্গে প্রবৃদ্ধি কমবে ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
আর্থিক সহায়তা ও প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে এ বছরের বাজেট ঘাটতি বেড়ে হবে ৩৫ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা জিডিপির ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২০
এফএম