সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে সেইন্ট ডেনিসে অবস্থিত গ্রুপে হসপিতালিয়ে প্যারিস সেনের চিকিৎসকদের একটি দল লিখেছেন, ‘ফ্রান্সে প্রথম রোগী শনাক্তের এক মাস আগেই ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে দেশটিতে ছড়াতে শুরু করে কোভিড-১৯। ’
ফ্রান্সে প্রথম রোগী শনাক্ত করা হয় ২৪ জানুয়ারি।
নিবিড় পর্যবেক্ষণ বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়ুভেস কোহেন এবং তার হাসপাতালের সহকর্মীরা সিদ্ধান্ত নেন আগের রোগীদের রেকর্ড নিরীক্ষা করা হবে যেন প্রথম শনাক্তের আরও আগেই অলক্ষিতভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরাও প্রমাণ পেয়েছেন, প্রথম শনাক্তের আরও আগেই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল দেশটিতে।
২ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সর্দি-জ্বরসহ ফ্লুয়ের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের সংগ্রহ করে রাখা হিমায়িত নমুনা করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করে ফ্রান্সের দলটি। তারা দেখতে পান, আলজেরিয়ায় জন্মানো ৪২ বছর বয়সী এক পুরুষের কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে। তিনি অনেক বছর ধরে ফ্রান্সে থাকেন এবং মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করেন। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে তিনি আলজেরিয়া যান। তিনি চীনে যাননি। তার এক সন্তানও একইরকম অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে চিকিৎসকদের দলটি বলেন, ‘প্রথম রোগী শনাক্তের সময়টি সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কেননা এতে সার্স-কোভ-২ সম্পর্কে ইতোমধ্যে পাওয়া আমাদের ধারণাগুলো নাটকীয়ভাবে বদলে যায়। চীন ভ্রমণ না করা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার অর্থ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষেই ফ্রান্সের অধিবাসীদের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করেছিল। ’
জানুয়ারি মাসের আগে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি ইউরোপে। মহাদেশটিতে মহামারির কেন্দ্র ইতালিতেও প্রথম দুই রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি। তারা ছিলেন রোম ভ্রমণে আসা দুজন চীনা পর্যটক। ইতালিতে প্রথম গণসংক্রমণ রেকর্ড করা হয় ফেব্রুয়ারির শেষে দেশটির উত্তরাঞ্চলের কোদোগনো নগরে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
এফএম