অর্থাৎ একবার সেরে উঠলে আরেকবার আক্রান্ত না হওয়ার একটা সুযোগ আছে। তবে এই অ্যান্টিবডি তাদের ইউমিনিটি দিচ্ছে কি-না, সে খবর এখনও বলেনি।
মঙ্গলবার (০৫ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জনাথন ভ্যানথাম বলেছেন, কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা রোগীদের পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে, বেশির ভাগের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এ হিসেবে বলা চলে, অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে।
কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় এখনও কোনো ওষুধ বা টিকা-প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) যে গাইডলাইন আছে, সেগুলো মেনে চলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আপাতত। এ ক্ষেত্রে আক্রান্তদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া অনেকটা স্বস্তির বিষয়।
এদিকে, আগামী আট মাসের মধ্যেই করোনা ভাইরাসের টিকার ৩০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র প্রকল্পটির নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ওয়ার্প স্পিড’।
টিকা আবিষ্কারের পর তা মানবদেহে প্রয়োগের উপযুক্ত করতে যেখানে পাঁচ বছরের মতো সময় লাগে, সেখানে এই মহামারি রুখতে বিজ্ঞানীরা ১২ থেকে ১৮ মাস সময় চাচ্ছেন। কিন্তু দিন দিন আক্রান্ত সংখ্যা লাগামহীনভাবে বেড়ে চলায় উদ্বিগ্ন ট্রাম্প প্রশাসন সেটাকে আট মাসের মধ্যেই নামিয়ে এনেছে।
এজন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয়ও করছে দেশটি। অপারেশন ওয়ার্প স্পিডের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে বলছেন, এটি সফল না হলে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তবে এই ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া এখন আর কোনো পথও নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
টিএ