সোমবার (১১ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
রোববার (১০ মে) শহরটিতে ১১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
৪৫ বছর বয়সী এ নারীর সংস্পর্শে এসে তার স্বামী, বোন এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি কোথাও ভ্রমণে যাননি বলেও জানান এ নারী।
এ ঘটনার পর সুলানের জনসমাবেশের সব স্থান বন্ধ করে দেওয়া হয়। শহরটির অধিবাসীদের বাড়িতেই থাকতে বলা হয়। সেই সঙ্গে গণপরিবহন স্থগিত করে শহরটিকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে ওই নারী কীভাবে সংক্রমিত হলেন সেটি নিয়ে চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জিলিন প্রদেশে অবস্থিত উত্তর কোরিয়া সীমান্তবর্তী একটি শহর সুলান। উত্তর কোরিয়া দাবি করে, দেশটিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নেই।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে দেশটি।
এদিকে গত সপ্তাহে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়াকে সাহায্য করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
সোমবার চীনে ১৭ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে টানা দু’দিন দুই অঙ্কের রোগী মিললো। তাদের মধ্যে পাঁচজন করোনা ভাইরাসের উৎসস্থল উহান শহরের, যেখানে রোগীসংখ্যা শূন্যে নেমে আসায় লকডাউন তুলে দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
এফএম