যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন-এর বরাতে এমন একটি খবর প্রকাশ হয় বুধবার। তবে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, বিড়াল করোনায় আক্রান্ত হলেও এদের শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না।
গবেষণায় দেখা যায়, কিভাবে বড় বা ছোট বিড়াল ভাইরাসটির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে কোভিড-১৯ এর বিস্তারে এরা কোনো ভূমিকা রাখছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
গবেষকরা তাদের ল্যাবে তিনটি ভিন্ন বিড়ালকে করোনায় আক্রান্ত করেন। আর তিন দিন পরেই তাদের নিজেদের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। আক্রান্ত বিড়ালটি যখন একটি সুস্থ বিড়ালের সঙ্গে কিছু দিনের জন্য মিলিত হয়, তখনই সেই সুস্থ বিড়ালটির শরীরে করোনা সংক্রমণ ঘটে।
তবে এই গবেষণায় কোনো পশুর শরীরেই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বা ওজন হ্রাসের মতো কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি।
কিন্তু নিউ ইয়র্কে করোনা আক্রান্ত হওয়া প্রথম দুটি বিড়ালের মাঝে হালকা শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা গিয়েছিল, যদিও সেই দুটি বিড়ালই এখন পুরোপুরি সুস্থ। এছাড়া ব্রোনক্স চিড়িয়াখানায় আটটি সিংহ ও বাঘের করোনা পজিটিভ হয়েছিল।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ও উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ইয়োশিহিরো কাওয়াওকা, যিনি কিনা এই গবেষণা দলের প্রধান। তিনি জানান, এই ভাইরাস সংক্রমিত বিড়ালরা কি মানবদেহে করোনা ছড়াতে পারে কিনা সেজন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
এমএমএস