চীন থেকে শুরু হওয়া করোনা ইউরোপ, আমেরিকা ঘুরে এশিয়াতেও এখন বড় আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যু মিছিল।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪০। আর মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৭ জনের। ফলে বলাই যায়, অন্য অনেক দেশ থেকে করোনা প্রতিরোধে দারুণ ভূমিকা রাখছে তাইওয়ান।
তাইওয়ানে বিদ্যালয়গুলো চালু রাখা হয়েছে। কাজের পরিবেশও স্বাভাবিক। রাস্তাঘাটে রয়েছে মানুষের আনাগোনা। এমনকি দোকান ও রেস্তোরাঁগুলোও বরাবরের মতো খোলা রয়েছে।
আয়তনে ছোট এই দেশটির জনপ্রিয় খেলা বেসবল স্টেডিয়ামে হচ্ছে নিয়মিত। যদিও দর্শক আসনে কিছুটা শিথিলতা রাখা হয়েছে। প্রতিটি খেলায় এক হাজার দর্শক খেলা দেখার অনুমতি পেয়েছে।
তবে এসব কিছু প্রমাণ করে না যে, তাইওয়ানের জনগণ কোনো কিছুকে পাত্তা দিচ্ছে না। বরং সতর্ক থেকেই সমস্ত কাজে জড়িয়েছে তারা। যেখানে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে তাইওয়ান সরকার তার দেশের বর্ডার কঠোর নিয়ন্ত্রণে নেয়। বিমানবন্দর ও হাসপাতালগুলোতে কড়া নিরাপত্তা চলে। হাসপাতালের আইসোলেশন ও হোম কোয়ারেন্টিনের ওপর কঠোরতা আরোপ করা হয়।
ফলে শুরু থেকে তাইওয়ান সরকার ও দেশটির জনগণ একসাথে কাজ করায় করোনা মহামারি প্রতিরোধে তারা সফল হয়েছে বলা চলে।
বেশিরভাগ তাইওয়ানিজ প্রতিদিন তাপমাত্রা পরীক্ষা করে। দিনে কখনো একের বেশিও করে। স্বেচ্ছায় সবাই হাত জীবাণুমুক্ত করে এবং যাত্রী পরিবহনে ফেস মাস্ক ব্যবহার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
এমএমএস