বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডেভোরা কেস্টেল বলেন, ‘আইসোলেশন, ভয়, অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক সমস্যা- এসবের কারণে মানসিক অসুস্থতা সৃষ্টি হতে পারে। ’
কোভিড-১৯ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে জাতিসংঘের নির্দেশনা ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করার সময় এ কথা বলেন তিনি।
কেস্টেল জানান, মানসিক অসুস্থতার সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং সরকারের উচিত এ সংকটকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে কেস্টেল বলেন, ‘গোটা সমাজের মানসিক স্বাস্থ্য ও কল্যাণের ওপর এ মহামারির গুরুতর প্রভাব পড়েছে এবং জরুরি ভিত্তিতে এটি মোকাবিলা করতে হবে। ’
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাজের বেশ কিছু শ্রেণি ও বিভাগ মানসিক অসুস্থতার বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। যেমন- বন্ধু ও স্কুল থেকে দূরে বিচ্ছিন্ন শিশু-কিশোররা এবং হাজার হাজার মানুষকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে ও মারা যেতে দেখা স্বাস্থ্যকর্মীরা।
নতুন বেশ কিছু গবেষণা ও জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে। মনোবিজ্ঞানীরা জানান, ইতোমধ্যে শিশুরা উদ্বিগ্ন এবং বিভিন্ন দেশে বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের রোগী বাড়ছে।
গৃহ নির্যাতন বাড়ছে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মানসিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক ও নার্সদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে রয়টার্স জানায়, স্বাস্থ্যকর্মীরা আতঙ্ক, উদ্বেগ, শোক, অসাড়তা, বিরক্তি, অনিদ্রা ও দুঃস্বপ্নে ভুগছেন।
স্বাস্থ্যখাত ছাড়াও শারীরিক দূরত্ব ও বিচ্ছিন্নতার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে। অনেকেই সংক্রমণ, মৃত্যু ও প্রিয় মানুষদের হারানোর দুশ্চিন্তায় আতঙ্কগ্রস্ত।
শুধু জীবন নয়, মহামারির কারণে হুমকির মুখে জীবিকা। অনেকেই তাদের চাকরি হারিয়েছেন। ব্যবসা হারিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তার অনিশ্চয়তায় তারা উদ্বিগ্ন ও হতাশ।
আইনপ্রণেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়, কোটি কোটি মানুষের দুর্ভোগ এবং দীর্ঘকালীন সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রশমন করাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
এফএম