কোভিন্দ অবশ্য এর আগে গত মার্চে পুরো মাসের বেতন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ত্রাণ তহবিলে দান করেছিলেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতি ভবনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, করোনা ভাইরাস রোধে রাষ্ট্রপতি কোভিন্দ কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতির মতে ভারতকে আত্মনির্ভর করতে সরকারের এমন দৃষ্টিভঙ্গি এবং করোনা মহামারি মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ ও একই সঙ্গে দেশের উন্নতি অব্যাহত রাথতে এটা ছোট তবে উল্লেখযোগ্য অবদান। ’
আরও বলা হয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে দামি প্রেসিডেনশিয়াল লিমুজিন গাড়ি কেনা হচ্ছে না। আর করোনা কালে রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ ও সরকার বিভিন্ন সম্পদ ভাগ করে ব্যবহার করবে। ফলে অফিস স্টেশনারি ও জ্বালানি ব্যবহার কমে আসবে।
এদিকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও খরচ বাঁচাতে আপাতত দেশের ভেতরে ভ্রমণ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাতায়াত কমিয়ে দেবেন কোভিন্দ। অপরদিকে মানুষের কাছাকাছি থাকতে তিনি প্রযুক্তির ওপর আরও বেশি ঝুঁকছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি অনলাইন মিটিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন।
এছাড়া প্রজাতন্ত্র দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রীয় ভোজনগুলোতে অতিথিদের সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হবে। সাজসজ্জার ওপর দেয়া হচ্ছে বাধ্যবাধকতা। আর খাবারের তালিকা হবে আগের থেকে ছোট।
ধারণা করা হচ্ছে এমন হিসেবে চললে চলমান বছরে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাজেট থেকে ২০ শতাংশ অর্থ রক্ষা করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
এমএমএস