শুক্রবার (১৫ মে) আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বিশ্বে করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ লাখ ১৬ হাজার তিনশ ৮৫ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনা ভাইরাস সম্ভবত কখনোই পুরোপুরি নির্মূল হবে না; একে সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকা শিখতে হবে মানবজাতিকে। অবশ্য একটি স্বস্তির খবর দিয়েছে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইউএমএ)।
সংস্থাটি বলেছে, আগামী এক বছরের মধ্যেই করোনা ভাইরাসের কয়েকটি টিকা (ভ্যাকসিন) হাতে চলে আসবে।
এদিকে করোনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ‘রাজনীতি’ অব্যাহত আছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অভিযোগ তুলেছেন, করোনার টিকা তৈরির মার্কিন গবেষণাপত্র চুরির চেষ্টা করছে চীনের হ্যাকাররা। যদিও বেইজিং এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
করোনা সংক্রমণে বিশ্বের প্রায় তিন লাখ দুই হাজার আটশ ৮৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪৫ লাখ ১৬ হাজার তিনশ ৮৫ জন। দেশ হিসাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে প্রায় ৮৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অঞ্চল হিসাবে সবচেয়ে মৃত্যু হয়েছে ইউরোপে। সেখানে করোনায় প্রায় এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর আছে উত্তর আমেরিকা। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৯৫ হাজার ৭৭০। এশিয়ায় মারা গেছে ২৩ হাজার ৪০৯ জনের। দক্ষিণ আমেরিকায় এই সংখ্যা ১৯ হাজার ১২১। আফ্রিকায় মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৫০৮ জনের। ওশেনিয়া অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে কম, ১১৯। গত দুই মাসের মধ্যে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে কম ছিল ১৫ মার্চ, ৬৯১ জন। সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ১৭ এপ্রিল, আট হাজার ৪২৯ ।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার আটশ ২২ জন। আর মারা গেছেন ২৬৯ জন।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম এ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। এরপর ধীরে ধীরে ভাইরাসটি বৈশ্বরি মহামারি আকারে বিশ্বের ১৯৬ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
আরএআর/এএটি