শনিবার (১৬ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে সানচেজ বলেন, ‘আমরা যে পথে যাচ্ছি, সেটিই একমাত্র সম্ভাব্য পথ। ’
এসময় জুন মাসের শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়াতে সংসদে প্রস্তাব দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ১৪ মার্চ প্রথমবারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করে স্পেন। কর্মকর্তারা জানান, দেশটিতে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এলেও ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত আরও কিছু সময় বিধিনিষেধ মেনে চলা দরকার।
শনিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্পেনে ১০২ জন মারা গেছেন, যা ১৮ মার্চের পর একদিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু। দেশটিতে এ রোগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৭ হাজার ৫৬৩ জন। এখন পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৮। এর মধ্যে শনিবার শনাক্ত হয়েছেন ৫১৫ জন।
ইতোমধ্যে চারবার স্পেনে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আইনপ্রণেতা ও ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে সানচেজের বামপন্থি জোট সরকার।
করোনা ভাইরাস ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শনিবার বিক্ষোভ শুরু করেন স্পেনের জনগণ। এসময় বিক্ষোভকারীরা সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন।
পুলিশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানালেও উচ্চবিত্তদের এলাকা সালামাঙ্কায় কয়েকশ’ মানুষ বিক্ষোভ করেন। এসময় তাদের অনেকের হাতে স্পেনের পতাকা ছিল। ক্ষমতাসীন বামপন্থি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভরত এক ব্যাংক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘করোনা ভাইরাস ব্যবস্থাপনায় সরকারের নেওয়া সব পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমি। ’
কার্লোস নামে আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘তাদের (সরকার) উচিত সবাইকে পরীক্ষা করা যেন সুস্থরা কাজে ফিরে যেতে পারে এবং অর্থনীতি আবারও চালু করা যায়। ’
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের পর সবচেয়ে খারাপ ভাইরাস ‘পেদ্রো এবং পাবলো’, যা ৪ কোটি ৭০ লাখ স্প্যানিশ জনগণকে ধ্বংস করে দেবে। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী পাবলো ইগলেসিয়াসের বিরুদ্ধে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জারাগোজা এবং দক্ষিণাঞ্চলের সেভি শহরেও একই ধরনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়।
এ ব্যাপারে সানচেজ বলেন, ‘বিক্ষোভ কী নিয়ে হচ্ছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এফএম