রোববার (১৭ মে) ট্রাভেল মেডিসিন অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এ তথ্য জানায়।
সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমণের ওপর গবেষণা চালান দুবাই পুলিশের ফরেনসিক ও অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক পরিচালক রশিদ আল গাফরি।
গাফরি বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোন নিয়ে কাজ করে দেখতে পাই, এগুলোর গায়ে শত শত জীবাণু। ফোন হলো ঘরের শত্রু বিভীষণের মতো। ব্যবহারকারী নিজের অজান্তেই ফোনের মাধ্যমে নিজের ঘরে জীবাণু বহন করে নিয়ে যায়। ফোনে থাকা জীবাণুর মধ্য দিয়ে সামাজিক সংক্রমণও ঘটে। কর্মক্ষেত্র, অফিস, আদালত, গণপরিবহনেও ফোনের মাধ্যমে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি।
‘মোবাইল ফোন তাপ উৎপাদন করে এবং জীবাণুগুলোকে বেঁচে থাকতে ও প্রজননে সাহায্য করে। করোনাসহ অন্যান্য জীবাণু ছড়াতে এটি সাহায্য করে। মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই জীবাণু এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ’
গাফরি বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো জীবাণুতে আক্রান্ত হন, তাহলে এটা স্বাভাবিক যে তার মোবাইল ফোনেও ওই জীবাণু আছে। আর সেখানে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন জীবাণু দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে। মানুষ যে হাতে জীবাণুযুক্ত ফোন ধরে, সেই একই হাত দিয়ে দিনে শত শত বার নিজের মুখে ছোঁয়ায়। ফলে খুব সহজেই মুখ থেকে ফোনে বা ফোন থেকে মুখে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে।
গাফরি ফোনের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ানো ঠেকানো রোধ করার বিষয়ে বলেন, মানুষকে নিজের ফোনটিকে নিজের হাতেরই অংশ মনে করতে হবে। কেননা ফোনে যা থাকে, ধরে নেওয়া যায়, তা হাতেও থাকে। ফলে হাতের মতোই নিয়মিত ফোনও স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রতিদিনই সেটা করা উচিত। ফোনকে সবসময় রোগজীবাণুর বাহক হিসেবে দেখতে হবে।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে বারবার হুঁশিয়ারি জানিয়ে আসছেন বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
এইচজে