মর্ডানার চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. টাল জাকসকে (Dr. Tal Zaks) উদ্বৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ কথা জানায়।
ডা. টাল জাকস সিএনএনকে বলেন, সামনের পরীক্ষাগুলো যদি ভালো ফল দেয় তবে কোম্পানি আগামী জানুয়ারি নাগাদ সর্ব সাধারণের জন্য এই টিকা নিয়ে আসতে পারবে।
প্রাথমিক ফল ইতিবাচক আসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্যিই এটি একটা দারুণ খবর এবং আমরা মনে করি অনেকেই এই এমন একটা খবরের জন্য বেশ কিছুদিন ধরে অপেক্ষা করে আছেন।
গেল মার্চ মাসে প্রথম পর্যায়ে কয়েকজনের শরীরে মর্ডানার এই টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে আট জনের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে পাওয়া ফলের ভিত্তিতে এই ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি।
টিকাটি মানুষের শরীরের জন্য নিরাপদ কি না এবং এটি নির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলছে কি না পরীক্ষা প্রথম ধাপে তা দেখা হয়।
মর্ডানা কোম্পানির বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যাদের শরীরে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা গেছে তা ভাইরাসের বংশবিস্তার ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম।
আটজনের প্রত্যেকের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস হতে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির সমান বা বেশি ‘নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি’ তৈরি হয়েছে। ‘নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি’ ভাইরাসকে আটকে ফেলে এবং বিকল করে দেয় ফলে ভাইরাস মানবদেহে আক্রমণের ক্ষমতা হারায়।
ডা. টাল জাকস বলেন, অ্যান্টিবডিগুলো ভাইরাসটিকে আটকে দিতে পারে। আমি মনে করি টিকা পাওয়ার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৬ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
এমইউএম/এনটি