শুক্রবার (২৯ মে) রাতে দিল্লি, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের তীব্রতা মাঝারি হলেও কয়েক সেকেন্ড ধরে তা স্থায়ী হয়।
দিল্লি থেকে লেখিকা রিমি মুৎসুদ্দি নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে লিখেছেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ। আমার বাড়ি রোহতক কেন্দ্রের কাছেই। আমরা সবচেয়ে বেশি অনুভব করলাম তাই। এখন ঠিক আছি। কিন্তু আফটার শক আবার আসবে কিনা জানি না। এই প্রথম দেওয়াল দুলতে দেখলাম। ফ্রিজের ভেতর বাসন পড়ে যাচ্ছে এমনভাবে শব্দ করে কেঁপে উঠল। এতটা বড় কখনো দেখিনি। ’
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ৯টা ৮ মিনিটের দিকে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল দিল্লি থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে, হরিয়ানার রোহতকে। এনসিএস জানাচ্ছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪ দশমিক ৬।
অন্য দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিয়োলজিক্যাল সার্ভে সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতের ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৫।
গত ২৫ মে উত্তরপূর্ব ভারতের মণিপুরে মাত্র ১৩ মিনিটের ব্যবধানে দু'টি ভূমিকম্প হয়। প্রথমটির তীব্রতা ৫.৫ রিখটার স্কেল। মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলা থেকে ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল এর উৎসস্থল। দ্বিতীয় কম্পন অবশ্য একদমই মৃদু ছিল। এর তীব্রতা ছিল ২.৬।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
ওএইচ/