দেশটিতে গত প্রায় ২৭ দিন ধরে নতুন কোনো কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়নি। প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার দু’মাসেরও কম সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯-মুক্ত হলো মন্টেনিগ্রো।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্টেনিগ্রো। আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে করে দেওয়া হয় সম্পূর্ণভাবে। গুরুত্ব দেওয়া হয় করোনা ভাইরাস পরীক্ষা ও সেলফ আইসোলেশনে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়।
সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন জানায়, ভাইরাস জয় করার পর এবার পর্যটন ব্যবস্থা চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে দেশটি। এ গ্রীষ্মে ইউরোপের অন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো থেকে এগিয়ে থাকার লক্ষ্য মন্টেনিগ্রোর। ক্রোয়েশিয়ার পাশে আড্রিয়াটিক সাগরের উপকূলে অবস্থিত ছবির মতো সুন্দর ছোট্ট দেশ মন্টেনিগ্রোর প্রত্যাশা, এবারের পর্যটন মৌসুম একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে যায়নি, ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।
আসন্ন গ্রীষ্মের দিকে আশাবাদী দৃষ্টি রেখে মন্টেনিগ্রোর পর্যটনমন্ত্রী দামির দেভিদোভিচ বলেন, ‘এ বছর আগের বছরের মতোই হবে এমনটা আশা করতে পারি না আমরা। তবে আমি বিশ্বাস করি, সম্প্রতি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা গিয়েছে, তার চেয়ে ভালো দিন আসতে যাচ্ছে। ’
তবে সতর্ক থাকার জন্য মন্টেনিগ্রো শুধু সেসব দেশের পর্যটকদেরই প্রবেশের অনুমতি দেবে, যেসব দেশে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ জনের বেশি নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এফএম