ফলে দেশ এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে। কীভাবে ২৪ লাখ মানুষকে আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে বাঁচাতে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া যায়।
সার্বিক পরিস্থিতিতে যাতে মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যায়, এ লক্ষ্যে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে আগেকার ৪ হাজার ১৭১ আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে আরও ১০ হাজার ৫০০ বাড়তি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করি আমরা। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে নামানো হয় ৭০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী। বিতরণ করা হয় পর্যাপ্ত মাস্ক, পানি, সাবান ও স্যানিটাইজার। বিদেশি ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ায় ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কারখানাগুলো নেমে পড়ে পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট তৈরির কাজে।
যথাযথ সময়ে পূর্ব-সতর্কতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে নিরাপদ রাখা এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুননির্মাণ ও পুনরায় মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রয়েছে দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমেই এই করোনাকালীন সময়েও সুপার সাইক্লোন আম্পানকে সাফ্যল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে বাংলাদেশ। আর এতে করে বেঁচে যায় হাজার হাজার মানুষের জীবন।
বুধবার (৩ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি লেখায় এভাবেই করোনা পরিস্থিতিতে সুপার সাইক্লোন আম্পান মোকাবিলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সবসময় নিজেদের প্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতা অন্যদের জানাতে আগ্রহী বলে জানান শেখ হাসিনা।
গার্ডিয়ানের লেখায় জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ব-দ্বীপ বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী নানান পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
এইচজে