পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ও সাবেক বাস্কেট বল তারকা জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড ঘিরে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে পুরো যুক্তরাষ্ট্র।
সাবেক এই প্রেসিডেন্টদের সমর্থন গত সাতদিন ধরে চলা আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের মধ্যে এই চারজনই বেঁচে রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই ফ্লয়েড হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে জিমি কার্টারের পক্ষে দ্য কার্টার সেন্টার থেকে বলা হয়েছে, 'নির্মম বর্ণ বৈষম্য ও তার ফলশ্রুতিতে গত কয়েকদিন ধরে যা হচ্ছে তা সত্যিই বেদনাদায়ক। '
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, 'আমাদের জনগণ যেমন ভালো, তেমনই ভালো একটি সরকার প্রয়োজন আমাদের। ' তবে বিক্ষোভের নামে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ফ্লয়েড হত্যার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন।
বিবৃতিতে জর্জ বুশ ও লরা বুশ বলেন, 'এখন লেকচার দেওয়ার সময় নয়। এখন জনগণের কথা শোনার সময়। আমেরিকার নির্মম ব্যর্থতাগুলো ঠিক কোথায় তা পরীক্ষা করে দেখার সময় এখন। '
শনিবার এক বিবৃতিতে বিল ক্লিনটন বলেন, ‘কেউই ফ্লয়েডের মতো মৃত্যু প্রত্যাশা করে না। তবে সত্য এটাই যে, আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের শ্বেতাঙ্গ নাগরিক হতেন, তাহলে আপনার সে সম্ভাবনাও কম থাকত। '
বারাক ওবামা তার বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদের যে ঝড় উঠেছে তা যেন 'প্রকৃত পরিবর্তনের' হাতিয়ার হয়ে ওঠে।
২৫ মে মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। প্রকাশ্যে শহরের রাস্তায় গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে ফ্লয়েডকে হত্যা করেন এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমেরিকাজুড়ে বিক্ষোভ ও অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্র: এবিসি নিউজ