এরই মাঝে সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিপণনের লক্ষ্যে অক্সফোর্ডের সঙ্গে পার্টনারশিপে গেছে ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যালস ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা’। ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হলে যাতে তা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছাতে বিন্দুমাত্র দেরি না হয়, সে জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলাকালীনই এর উৎপাদন শুরু করতে চলেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলাকালীনই ওষুধ উৎপাদনে যাওয়া, এ ঘটনাকে অভূতপূর্ব বলে অভিহিত করেছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাস্কেল সরিয়েট। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিন কার্যকর নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উৎপাদিত সব ডোজ বাতিল করার ঝুঁকি নিতে হবে। অন্যদিকে কার্যকারীতা নিশ্চিত হলে লাখ লাখ জীবন বাঁচাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা পৌঁছে দিতে আগেভাগেই সেগুলো উৎপাদন করে রাখতে হবে।
এদিকে এরই মাঝে সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিপণনের ব্যাপারে নতুন করে সুখবর জানিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। গত মাসে সম্ভাব্য এ ওষুধের ১শ’ কোটি ডোজ উৎপাদনের সক্ষমতার কথা জানালেও বর্তমানে তারা ২শ’ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম বলে জানিয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন উৎপাদন ইস্যুতে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুটি নতুন চুক্তিতে সই করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এর মধ্যে একটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বের শীর্ষ ধনী বিল গেটস। এসব চুক্তির ভিত্তিতেই নিজেদের ভ্যাকসিন উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার ঘোষণা জানিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
খবরে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে প্রথম ধাপেই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিনের ৩০ কোটি ও যুক্তরাজ্যের জন্য ১০ কোটি ডোজ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
অন্যদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদিত সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিনের ২শ’ কোটি ডোজের অর্ধেক বরাদ্দ থাকবে বিশ্বের নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর জন্য। এ ব্যাপারে তারা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এ প্রতিষ্ঠানকে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৪০ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে হবে।
মহামারিকালীন এ বাস্তবতায় বিশ্ববাসীর কাছে কোনো লাভ ছাড়াই অ্যাস্ট্রাজেনেকা সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২০
এইচজে