শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু দিয়ে তাকে মাটিতে চেপে ধরে রাখায় শ্বাসরোধে মারা যান তিনি। এ ঘটনার ভয়াবহতা গোটা যুক্তরাষ্ট্রকে কাঁপিয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুন) যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটি হয় জার্মানিতে। রয়টার্সের তথ্য মতে, এদিন ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং হামবুর্গে বিক্ষোভে জড়ো হন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন ব্যানার ছিল। ব্যানারে লেখা ছিল: ‘তোমার যন্ত্রণা, আমারও যন্ত্রণা; তোমার লড়াই, আমারও লড়াই’।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক বিক্ষোভকারীকে মাস্ক পরে থাকতে দেখা গেছে।
লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে হাঁটু গেড়ে বসে প্রতিবাদ জানান।
অস্ট্রেলিয়ায় বিক্ষোভকারীরা ক্যানবেরার সংসদ ভবনের উদ্দেশে পদযাত্রা করেন। এসময় দেশটিতে আদিবাসীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলমান নিপীড়ন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
অস্ট্রিয়ায় বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন। এসময় তাদের হাতে বর্ণবাদবিরোধী স্লোগান লেখা ব্যানার ছিল।
নরওয়েতেও জনসমাবেশের ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। সামাজিক দূরত্ব বিধি উপেক্ষা করে নরওয়ের সংসদ ভবন এবং মার্কিন দূতাবাসের সামনে জড়ো হন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।
এছাড়া, নেদারল্যান্ডস, লাইবেরিয়া, ইতালি, কানাডা এবং গ্রিসেও মানুষ শুক্রবার বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে। শনিবারও বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় শনিবার মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্যারিস পুলিশ।
আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ-সহিংসতা অব্যাহত
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
এফএম