গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃত্যু হয়েছে ২৯৪ জনের। এরসঙ্গে নতুন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯,৮৮৭ জন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ১ মে থেকেই ভারতে অত্যন্ত দ্রুতহারে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ওই দিন থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন রাজ্য থেকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে চালু হয়েছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। মনে করা হচ্ছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের মাধ্যমেই লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে কপালে ভাঁজ পড়ছে সকলের। ইতোমধ্যে দিল্লি এবং গুজরাটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ অঙ্কের ঘর ছুঁয়ে ফেলেছে। আর রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশেও মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার পেরিয়ে গেছে।
ভারতে সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মহারাষ্ট্রের মানুষ। ওদিকে সক্রিয় করোনা রোগীর হিসাবে এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। যদিও মোট করোনা আক্রান্তের বিচারে দিল্লির আগে রয়েছে দেশটির দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ু। আর মৃত্যুর পরিসংখ্যানে গুজরাট রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। তবে মোট করোনা আক্রান্ত, সক্রিয় করোনা রোগী এবং করোনায় ভুগে মৃত্যু, সবদিক থেকেই বিচার করে সব রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র।
এদিকে করোনাকে রুখতে ভারতে ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউন জারি করায় মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। তাই এবার ধীরে ধীরে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করে করোনাকে সঙ্গে নিয়েই জীবন শুরু করার চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সেই লক্ষ্যেই গত বৃহস্পতিবার (৪ জুন) করোনা সতর্কতায় এক নয়া নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। আগামী ৮ জুন থেকে ভারতের প্রায় সমস্ত শপিংমল, রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং ধর্মীয় স্থানগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে সব জায়গায় মেনে চলতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা কড়া নির্দেশাবলী। সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া ওই নির্দেশিকাতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে ধর্মীয় স্থান ও মলগুলোতে সীমিত সংখ্যক মানুষকে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হবে। পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানগুলিতে কোনওভাবেই প্রতিমা বা দেবালয়কে স্পর্শ করা যাবে না। অফিসগুলিও খুলে যাচ্ছে ৮ জুন থেকে। সেখানেও করোনা সতর্কতায় মেনে চলতে হবে ওই কেন্দ্রীয় নির্দেশাবলী। তবে আপাতত কনটেইনমেন্ট জোনের কোনও বাসিন্দা কাজে যোগ দিতে পারবেন না।
কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে, শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার জন্য প্রত্যেক অফিসেই থার্মাল স্ক্যানিং যন্ত্র রাখতে হবে। প্রতিটি কর্মীরই মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক। তবে শপিং মল খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও সিনেমা হল, শিশুদের খেলাধুলোর জায়গা সহ বেশকিছু ক্ষেত্র এখনও বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
এমকেআর