মঙ্গলবার (৯ জুন) বিবিসি এ তথ্য জানায়।
পুলিশের অসদাচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন, ঘাড়ে চাপ প্রয়োগ নিষিদ্ধ করা এবং বর্ণবাদ প্রতিহত করার পথ সুগম করবে এ আইন।
তবে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মার্কিন সিনেটে ‘জাস্টিস ইন পোলিসিং অ্যাক্ট অব ২০২০’ নামে বিলটি সমর্থন পাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ শুরু হয়। এক পর্যায়ে মিনিয়াপোলিস সিটি কাউন্সিল স্থানীয় পুলিশ বিভাগ ভেঙে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার নতুন উপায় বের করার পরিকল্পনার কথা জানায়।
এক টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘চরম বামপন্থি ডেমোক্র্যাটরা আমাদের পুলিশের বরাদ্দ বন্ধ এবং তাদের পরিত্যাগ করতে চাইছে। দুঃখিত, আমি চাই আইন ও শৃঙ্খলা!’
এ সপ্তাহের শেষে পুলিশে সংস্কারের বিষয়ে শুনানিতে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ফ্লয়েডের ভাইয়ের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার (৮ জুন) ‘জাস্টিস ইন পোলিসিং অ্যাক্ট ২০২০’ বিলটি পেশ করেন ডেমোক্র্যাট নেতা এবং হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, সিনেট সংখ্যালঘিষ্ঠ নেতা চাক শুমার, কৃষ্ণাঙ্গ সিনেটর কমলা হ্যারিস, কোরি বুকারসহ আরও কয়েকজন শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা।
বিলটি পেশ করার সময় যেসব কৃষ্ণাঙ্গ নারী ও পুরুষ পুলিশি সহিংসতার শিকার হয়ে মারা গেছেন, তাদের নাম উল্লেখ করেন পেলোসি।
বিলটিতে পুলিশের অসদাচরণের ঘটনা নথিভুক্ত করা, ঘাড়ে চাপ প্রয়োগ নিষিদ্ধ, কোনো ঘোষণা না দিয়ে পুলিশি অভিযান চালানো নিষিদ্ধ এবং নাগরিক অধিকার ভঙ্গে পুলিশকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। যেসব স্থানীয় পুলিশ বাহিনী এসব বিধি মেনে চলবে না, তাদের জন্য ফেডারেল তহবিল বরাদ্দ বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বিনা বিচারে কাউকে হত্যা করা ফেডারেল আইনে অপরাধ হিসাবে গণ্য করার কথা বলা হয়েছে।
ডেমোক্র্যাটদের সংস্কার বিলটিতে পুলিশ বিভাগ পুরোপুরি না ভেঙে পুলিশের কাজের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা চালু করতে বলা হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে সিনেটে শুনানির আগে এ বিষয়ে নিজেদের বিল প্রস্তাব করার কথা জানান কয়েকজন রিপাবলিকান নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২০
এফএম